ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/০৫/২০২৪ ৩:০৪ পিএম

নতুন অংশীজন খোঁজার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) রোহিঙ্গাদের জন্য আরো তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার গণভবনে আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।

আইওএম মহাপরিচালককে প্রধানমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক যে অংশীদাররা রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিচ্ছিলো তার পরিমাণ অনেকটা কমে গেছে।

এছাড়া জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে সে জন্য আইওএমকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এ সময় আইওএমের মহাপরিচালক রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে ক্যাম্পগুলো অত্যধিক ঘনবসতিপূর্ণ। মিয়ানমারে সংঘাত চলছে, ক্যাম্পগুলোর ভেতরে নানা দল উপদল আছে, গ্রুপিং আছে, তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত আছে। সে কারণে অনেক সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারে এখন স্থানীয় জনগণই সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। রোহিঙ্গারা সংখ্যায় বেশি। সেখানে যে সীমিত সম্পদ আছে, তা নিয়ে অনেক সময় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে।

pm1
তবে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ভাষানচরে আরো ভালো আবাসন ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ভাষানচরে সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো তৈরি করেছি। সেখানে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা, বাচ্চাদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এক লাখ মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা আছে।

ভাষানচরে আরো রোহিঙ্গা স্থানান্তরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।

ভাসানচর পৌঁছালো আরও ১২৪২ রোহিঙ্গাভাসানচর পৌঁছালো আরও ১২৪২ রোহিঙ্গা
এ সময় প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা। বলেন, প্রবাসীরা যেহেতু দুই দেশেরই অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে, উভয়েরই দায়িত্ব তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা।

শ্রমিকদের কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের সুযোগ সৃষ্টি করাসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি। এ সময় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ অভিবাসী শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন, ভাষা-সংস্কৃতি শিক্ষা এবং যে দেশে যাবে সেই দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বিদেশগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাদের দক্ষ করে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এ লক্ষ্যে সারা দেশে প্রায় ১১২টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেখানে নানা ধরনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়।

পাঠকের মতামত

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে ঢুকতে বিধিনিষেধ

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধসহ ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি ও বেসরকারি ...

আমাদের নিয়ত সহিহ, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...